রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েকদিন ধরে চলমান চরম নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে সংসদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরীফ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দলের সাংসদদের পদত্যাগ এবং সংসদ বর্জনের পর অধিবেশনে উপস্থিত ১৭৪ জন শাহবাজকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন।
ইমরানের পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরীফ। ব্যবসা সংগঠনের নেতৃত্ব, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ও বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকার পর কঠিন এক সময়ে সরকারপ্রধান হলেন তিনি।
সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশেনে তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে অভিনন্দন জানান সংসদ সদস্যরা। পরে সংসদে ভাষণ দেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। গত ৩ এপ্রিল সংসদে তার আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হয় ইমরান খানকে।
এর আগে পাকিস্তান সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পিটিআইয়ের সদস্যরা। তারা সংসদ অধিবেশনও বর্জন করেছেন।
শনিবার থেকেই এ ধরনের গুঞ্জন চলছিল। এদিকে আজ সকাল থেকেও একই গুঞ্জন চলতে থাকে রাজেনৈতিক অঙ্গনে। অবশেষে গুঞ্জনই সত্য হলো।
গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ভাগ্য নির্ধারণী অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অবশেষে হেরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাসে সৃষ্টি হলো এক নতুন নজির। দেশটিতে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারালেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।